মোঃ ইকবাল হাসান সরকারঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমেই দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে দাবি করেছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক।শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ২০ দলীয় জোটনেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ফারুক বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে অবস্থা চলছে সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি অপরিহার্য। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে মুক্ত করবো। এই আইনী লড়াইয়ে মুক্তির মধ্য দিয়ে দেশে আরেকবার লুন্ঠিত গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠিত হবে,বাংলাদেশের মানুষের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলা এবং জনসভা করার অধিকার ফিরে পাবো।সরকারের নিরাপত্তাহীনতায় বিএনপির শান্তিপূর্ণকর্মসূচি ব্যহত হচ্ছে দাবি করে সাবেক এই বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ বলেন,বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার উস্কানি দিচ্ছে।এই অবস্থা পরিবর্তনে এই মূহুর্তে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহনে জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন।সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।তাই সরকারের কাছে দাবি অনতিবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হোক।বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে চলমান আন্দোলন আরও বেগবান করতে হবে। আমাদের এই সংগ্রাম দেশনেত্রীকে মুক্ত করে নিয়ে আসার লড়াই। এই লড়াই আমাদের নেতা-কর্মীসহ বাংলাদেশের মানুষ এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লড়াই।বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পর দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। সেই নির্বাচন হতে হবে সকল দলের অংশগ্রহণে, নিরপেক্ষ ও আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশী তাকে দিব সেই নীতির মাধ্যমে।তিনি বলেন, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জেলে রেখে আরেকজন সরকারি টাকা খরচ করে আওয়ামী লীগের ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। অবিলম্বে এই আচরণ বন্ধ করতে হবে। কিন্তু সেই দিকে লক্ষ্য নাই। এই দেশে আবার বাকশাল তৈরি করার পরিকল্পনা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের সচেতন থাকতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আজ এক দলীয় শাসন এবং স্বৈরাচার এই দুটির সম্মিলনে যে ক্ষমতাসীন চক্র, তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। আর তাই একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে থাকতে হচ্ছে।লেবার পার্টি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বিএনপি তথ্য বিষয়ক সহ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জ হোসেন ঈসা, এনপিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য এম ওয়াহিদুর রহমান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিন পারভেজ, মাহমুদ খান, যুগ্ম মহাসচিব হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, আহসান হাবিব ইমরুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকন, ছাত্রমিশন সভাপতি কামরুল ইসলাম সুরুজ প্রমুখ।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১০মার্চ২০১৮/ইকবাল